Education

ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি

ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি খুঁজছেন? যদি খুঁজে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আর্টিকেলটি থেকে আপনি সহজেই এই বিষয়ে চিঠি পেয়ে যাবেন।

বাংলা পরীক্ষায় আমাদেরকে চিঠি লিখতে হয়। চিঠি লেখার জন্য ১০ নাম্বার বরাদ্দ থাকে। ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ষষ্ট, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য। চিঠিটি পাঠ্য বইয়ে খুঁজে না পেয়ে অনেকেই ইন্টারনেটে খোঁজেন চিঠিটি পড়ার জন্য বা মুখস্ত করার জন্য। এই চিঠির বিষয় হলো ঐতিহাসিক স্থান নিয়ে। বাংলাদেশে অনেক ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। যেকোন একটি ঐতিহসিক স্থান নিয়ে বর্ণনা করে এ ধরনের চিঠি লিখতে হয়।

তাহলে চলুন চিঠিটি দেখে নেওয়া যাক। আর আপনি যদি নিজেই নিজের মতোন করে ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি লিখতে চান সেটি কিভাবে লিখবেন তাও জানতে পারবেন আর্টিকেলটি থেকে।

ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি

নিম্নে আপনার জন্য সোনারগাঁও ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি দেওয়া হলো। সকল শ্রেণীয় শিক্ষার্থীদের জন্য এটি উপযুক্ত একটি চিঠি।

২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
মিরপুর, ঢাকা

প্রিয় রাতুল,
আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিস। অনেকদিন তোর কোনো চিঠিপত্র পাচ্ছি না। আমার কথা কি ভুলে গেছিস? কোন অভিমানে তুই চিঠি লেখা বন্ধ করেছিস জানি না। আশা করি, আমার এ চিঠি পাওয়ার পর তোর অভিমানের বরফ গলবে।

আজ তোকে লিখতে বসেছি এক ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা জানাতে। গত ‘মাঘী পূর্ণিমার’ ছুটিতে আমি আর রতন গিয়েছিলাম ইতিহাস-প্রসিদ্ধ সোনারগাঁও দেখতে। ইতিহাস বইতে বাংলার বারোভূঁইয়াদের কাহিনী পড়েছি। সেই বারোভূঁইয়াদের একজন ছিলেন ঈশা খাঁ। তারই অমর কীর্তি সোনারগাঁও। এর প্রাকৃতিক শোভা, প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শনের কথা চিঠিতে লিখে ঠিক তোকে বোঝাতে পারব না।

সকাল সাতটায় নাশতা সেরে আমরা দুজন সোনারগাঁর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ঢাকার কাছেই, তাই পৌঁছতে বেশি সময় লাগল না। রাস্তার পাশে বিরাট দ্বিতল ইমারত। এখন ভগ্নপ্রায়। সামনে মস্ত পুকুর। চারপাশে সারি সারি গাছ। শানবাঁধানো ঘাটের পাশে পাথরে খোদাই করা বীরযোদ্ধার গর্বিত প্রতিমূর্তি। তা বাংলার অবলুপ্ত শৌর্যবীর্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এখানে রয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুলের প্রচেষ্টায় নির্মিত লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর এবং ঈশা খাঁর রাজধানীর মূল ভবন। রাস্তার দুপাশে রয়েছে অনেক পুরানো অট্টালিকা। প্রাচীন যুগের অবাক-করা সব স্থাপত্য নিদর্শন। ইতিহাসের উত্থান-পতনের কাহিনী। এসব দেখতে দেখতে যেন অতীতে হারিয়ে গেলাম।

সময় পেলে তুইও একবার দেখে আসিস বাংলারর ইতিহাস প্রসিদ্ধ সোনারগাঁও। তোর লেখাপড়া কেমন চলছে জানাবি। ভালো থাকিস। চাচা ও চাচিকে আমার সালাম জানাস।

ইতি তোর বন্ধু,
নুরুল আমিন

আপনার জন্য আরো একটি ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি নিম্নে দিয়ে এটি। এই চিঠিটি একটু Short। তবে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত। এই চিঠিটি ঐতিহাসিক মহাস্থাগড়ের বর্ণনা নিয়ে।

২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
রংপুর

প্রিয় শামিম,
শুভেচ্ছা নিও। অনেক দিন হলো তোমার কোনো চিঠি পাচ্ছি না। আশা করি, ভালোই আছ। সেদিন আমরা স্কুল থেকে ক্লাসের সবাই মহাস্থানগড়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষকও ছিলেন। আজকে তোমাকে সেই ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় সম্পর্কে লিখতে বসেছি।

মহাস্থানগড় বগুড়া শহরের করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। প্রাচীনকালের অনেক কীর্তিচিহ্ন এখনো অতীতকে স্মরণীয় করে রেখেছে। এখানে দেখার মতো ছিল বেহুলা ও লক্ষ্মীন্দরের বাসর ঘর। মহাস্থানগড়ের স্মৃতিস্তম্ভের ধ্বংসাবশেষ সত্যিই দেখার মতো। এছাড়া এখান থেকে অনেক কিছু জানারও ছিল যেমন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি। একসময়ে কত প্রাণচাঞ্চল্যই না ছিল এখানে। প্রাচীন বৌদ্ধ যুগের বহু ধ্বংসাবশেষ এখানে এখনো বিদ্যমান।

এখানে এসে আমার মনে হলো, আমি হাজার বছর আগে চলে গেছি। অথচ আজ সব কালের সাক্ষী হয়ে পড়ে রয়েছে। সারা দিন আমরা মহাস্থানগড়ে ছিলাম। সবকিছু দেখে ফিরলাম সন্ধেবেলা। তুমি এবার এলে তোমাকে অবশ্যই মহাস্থানগড়ে বেড়াতে নিয়ে যাব। আজ আর নয়। ভালো থেকো।

ইতি
মিঠুন

ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি লেখার নিয়ম

এই আর্টিকেলে দুইটি ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি রয়েছে। এই চিঠি দুইটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই একটু ধারণা পেয়ে যাবেন কিভাবে এই ধরনের চিঠি লিখতে হয়।

সাধারণ সকল চিঠির মতোন এই ধরনের চিঠি লিখতে হয়। তবে চিঠির বর্ণনা ঐতিহাসিক নিয়ে হবে। বাংলাদেশের কোন একটি ঐতিহাসিক স্থানে কি কি রয়েছে। কি কি জিনিস ওই ঐতিহাসিক স্থানে গেলে দেখা যাবে সেসব লিখতে হবে। এছাড়াও আপনি নিজে ওই স্থানে কি কি করেছেন, কেমন আনন্দ করেছেন এসব বিষয়ও লেখা যেতে পারে।

উপসংহার

ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি নিয়ে এই ছিল আমাদের আর্টিকেল। আশা করছি আর্টিকেলটি থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে গেছেন। আর্টিকেলটি নিয়ে আপনার কোন জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।

ধন্যবাদ আপনাকে টিউনবিএনে ভিজিট করে আমাদের সাথে থেকে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। এই ধরনের আরো অনেক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে।

Imran Hossan

I am Imran, a student with the dream of becoming a professional developer, I love to explore, explore, learn interesting things on the Internet.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Hey Dear!! Thank you for visit on TuneBN. Please Disable your AD Blocker to continue browsing.